কুড়িগ্রামে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৬ জুন) সকাল ১১টায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মোস্তাঈন মোশন (Mostain Motion) টিম এর উদ্যোগে কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের চর শংকর মাধবপুরবাসীর মাঝে এ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
বানের পানিত ভাসতে ভাসতে জীবনডা শ্যাষ। খায়্যা না খ্যায়া জীবন যাচ্ছে। কেউ অ্যাকনা ইলিপও দেয় নাই। তোমার ভালো হইবে বাবা। চিড়া-চিনিডো পায়্যা খুব ভালো হইল বাপ। চিড়া-চিনি, পানি খ্যায়া জীবনডা বাঁচাবার পারমো। এভাবেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন রাজিব পুর চরে আশ্রয় নেওয়া রওশোনারা বেগম।
শুধু রওশোনারা বেগম নন, রাজিবপুর চরের বানভাসি ১শত ৫০টি পরিবারের হাতে মোস্তাঈন মোশন টিমের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
মোস্তাঈন মোশন টিমের প্রতিনিধিরা নৌকায় ঘুরে ঘুরে রাজিবপুর চরের বানভাসি মানুষের হাতে ত্রাণ সামগ্রীর প্যাকেট তুলে দেন।
ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিল ২কেজি চিড়া, ১কেজি মুড়ি, আধা কেজি চিনি, দশ প্যাকেট করে বিস্কুটসহ নগদ অর্থ।
চরের বানভাসি মানুষ জানায়, তারা কোদালকাটি ইউনিয়নের বাসিন্দারা চর বিলীন হওয়ার পর তারা ঠাঁই নিয়েছে পার্শ্ববর্তী উঁচু জায়গায়। বর্ষা এলেই চর প্লাবিত হয়। পানি নেমে গেলে শুরু হয় ভাঙন। এবার যমুনার ঢলে প্লাবিত হয় চরের কয়েক শ পরিবার। অনেকেই বসত ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। ৮দিন ধরে পানিবন্দী থাকার পর যমুনায় পানি কমতে শুরু করে। এখন পানি নেমে গেলেও দুর্ভোগ কমেনি। পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙছে নদীর কূল। বিলীন হচ্ছে আবাদি জমি। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও, সেভাবে কোনো ত্রাণ তৎপরতা নেই।
এ সময় স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম রফিক, মোস্তাঈন মোশন টিমের প্রধান মাওলানা ক্বারী আহমদ তালুকদার এর কাছে এলাকাবাসীর পক্ষে সমস্যার কথাগুলো তুলে ধরেন।
ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে টিমে স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন হাফেজ মুহম্মদ আবু তাহির, হাফেজ মুহাম্মদ আলী, হাফেজ রাসেল আহমেদ, মুহাম্মদ রাইসুল ইসলাম, এইচ এম আল আমীন আজাদী, মুহম্মদ মনির খান।